বহিঃ বাংলাদেশে ছুটি ভোগ

ক। বহিঃ বাংলাদেশে ছুটি ভোগ সম্পর্কে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম(বিধি-৪) ছুটি-৮৭/৫২(২০০), তারিখ: ৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৭ এর বিধান নিম্নরূপ-

(১) অর্জিত ছুটি বাংলাদেশের বাহিরে কাটাইতে হইলে নির্ধারিত ছুটি বিধিমাল অনুযায়ী সরকারি কাজে বা প্রশিক্ষণের জন্য দেশের বাহিরে যাওয়ার পূর্বেই যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে ছুটির মজুরী গ্রহণ করিতে হইবে। ছুটির মঞ্জুরী গ্রহণ না করিয়া বিদেশে গমনপূর্বক ছুটির দরখাস্ত করা বিধি বহির্ভূত।

(২) কোন সরকারি কর্মচারী ছুটির মঞ্জুরী গ্রহণ না করিয়া বিদেশে গমনপূর্বক ছুটির দরখাস্ত করিতে পারিবেন না এবং এইরূপ দরখাস্তের বিবেচনায় ছুটি মঞ্জুর করা যাইবে না, ফলে ঐ সময়ের জন্য তাহাকে বিনা অনুমতিে চাকরিতে অনুপস্থিতির দায়ে দায়ী হইতে হইবে। বিদেশে যাওয়ার পূর্বে দেশ হইতে অনুপস্থিতির সময়কাল নির্দিষ্ট থাকিতে হইবে এবং অফিসে পুনরায় যোগদানের তারিখ উল্লেখ থাকিবে হইবে।

(৩) বিদেশে ছুটি কাটানোর পর ভ্রমণ সময় যোগ হইবে না। 

(৪) বিদেশে অবস্থানকালে বিধি অনুযায়ী নৈমিত্তিক ছুটি প্রদান করা যায় না।

খ। অবসর-উত্তর ছুটি ভোগরত কর্মকর্তাদের বহিঃ বাংলাদেশ ছুটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ মঞ্জুর করিবেন। অবসর-উত্তর ছুটি ভোগরত কর্মকর্তা ব্যতীত অন্যান্যদের বহিঃবাংলাদেশ ছুটি প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয় হইতে সময়ে সময়ে জারিকৃত আদেশ নির্দেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে। (জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং সম(বিধি- ৪)-বিবিধ ৭০/৯২/৫৩(৩০০), তারিখ: ৯ মার্চ, ১৯৯৩)

গ। সচিবসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাগণ বিদেশে সরকারি কাজ শেষ হওয়ার পর কিংবা বহিঃবাংলাদেশ ছুটি শেষ হওয়ার পরও বিদেশে অতিরিক্ত অবস্থান করিয়া

থাকেন। অতঃপর দেশে ফিরিয়া ছুটির জন্য আবেদন করেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দীর্ঘদিন দেশের বাহিরে অবস্থান সরকারি কাজে নানারূপ জটিলতার সৃষ্টি করে এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব ঘটে। যাহা সুষ্ঠুভাবে সরকার পরিচালনার জন্য কোন মতে কাম্য নয় । তাই অনিবার্য কারণে কেবল সীমিত ক্ষেত্র ব্যতীত এই ধরনের ছুটি প্রদান করা যাইবে না। (জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন নং সম(বিধি-৪)-ছুটি- ৫/৯০-২০(২০০), তারিখ: ২৭ জানুয়ারি, ১৯৯২)

ঘ। বহিঃবাংলাদেশে ছুটি ভোগ সংক্রান্তে বাংলাদেশে সার্ভিস রুলস, পার্ট-১ এর পরিশিষ্ট-৮ এ নিরূেপ বিধান রহিয়াছে-

(১) বহিঃবাংলাদেশ ছুটি ভোগের অনুমতিপ্রাপ্ত কোন কর্মচারীর ক্ষেত্রে চাকরি হইতে অপসারণের যোগ্য কর্তৃপক্ষ যদি এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, ছুটি শেষে তাহাকে পুনঃ কর্মে যোগদানের অনুমতি দেওয়া হইবে না, তাহা হইলে এই সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে বাংলাদেশ ত্যাগের পূর্বে জানাইতে হইবে। (অনু-২৫) 

(২) সংশ্লিষ্ট কর্মচারী স্থায়ীভাবে অথবা সাময়িকভাবে শারীরিক বা মানসিকভাবে অযোগ্য কিনা, তাহা বহিঃবাংলাদেশে ছুটিতে যাওয়ার মুহূর্তে নির্ধারিত করা সম্ভব না হইলে, তাহা পরে দূতবাসের মাধ্যমে তাঁহাকে অবহিত করিতে হইবে। উক্ত কর্মচারীকে ছুটি ফিরাইয়া আনার ক্ষেত্রেও তাহা দূতাবাসের মাধ্যমে জানাইতে হইবে। তবে ছুটি শেষ হওয়ার কমপক্ষে ৩ (তিন) মাস পূর্বে তাহা দূতাবাসকে জানাইতে হইবে। (অনু-২৬) 

(৩) বহিঃবাংলাদেশে ছুটি ভোগরত অবস্থায় উক্ত কর্মচারীর স্থায়ী পদটি বিলুপ্ত করা হইলে তাহা দূতাবাসের মাধ্যমে জানাইতে হইবে। (অনু-২৭)

1 thoughts on “বহিঃ বাংলাদেশে ছুটি ভোগ

  1. জনাব, আমি গত ১৬ এপ্রিল মন্ত্রণালয় হতে (৯/৪/২৩ থেকে ২৩/৪/২৩) ১৫ দিনের বহিঃ বাংলাদেশ ছুটি মঞ্জুর করিয়ে নেই, আমি এখন ছুটি ভোগ করিনি। আগামী ৮ আগস্ট থেকে ১৫ দিন ছুটি ভোগ করতে চাচ্ছি,। এখন কি আমাকে আবার মন্ত্রণালয় হতে নতুন করে ছুটি মঞ্জুর করাতে হবে নাকি এই ছুটি আদেশেই বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে? যেহেতু অর্থবছর শেষ হয়ে গেছে ২০২২-২৩ ছিল , এখন ২০২৩-২৪। এক্ষেত্রে করণীয় কি জানলে কৃতজ্ঞ থাকব। অসংখ্য ধন্যবাদ।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান